ধান চাষে জমি প্রস্তুতি ও বীজ নির্বাচন
Open Calculator
ধান চাষে জমি প্রস্তুতি ও বীজ নির্বাচন কৃষকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক জমি প্রস্তুতি ও মানসম্মত বীজ নির্বাচন করলে ফলন বৃদ্ধি পায় এবং খরচ কমে। নিচে ধান চাষের জন্য জমি প্রস্তুতি ও বীজ নির্বাচন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
জমি প্রস্তুতি
১. জমির নির্বাচন ও প্রস্তুতি
- উর্বর জমি নির্বাচন: রোদ পড়ে এমন উর্বর ও সেচ সুবিধাযুক্ত জমি বীজতলার জন্য নির্বাচন করতে হবে।
- জমি চাষ: প্রতি বর্গমিটার জায়গার জন্য ২-৩ কেজি জৈব সার দিয়ে ভালোভাবে জমি তৈরি করতে হবে।
- বীজতলা তৈরির পদ্ধতি:
- পানি দিয়ে জমি থকথকে কাদা করে এক মিটার চওড়া এবং জমির দৈর্ঘ্য অনুসারে লম্বা করে ভেজা বীজতলা তৈরি করতে হবে।
- যেসব এলাকায় ঠাণ্ডার প্রকোপ বেশি সেখানে শুকনো বীজতলা তৈরি করতে পারেন।
- প্রতি বর্গমিটার বীজতলার জন্য ৮০-১০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। (কার্ত্তিক - কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস)-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার)
২. বীজ বপন ও পরিচর্যা
বীজ নির্বাচন
১. জাত নির্বাচন
বিভিন্ন পরিবেশের উপযোগী ধান জাত নির্বাচন করা উচিত: (জ্যৈষ্ঠ - কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস)-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার)
- খরা প্রবণ এলাকার জন্য: ব্রিধান৫৬, ব্রিধান৫৭, ব্রিধান৬৬, ব্রিধান৭১।
- জলমগ্নতা সহনশীল এলাকার জন্য: ব্রিধান৫১, ব্রিধান৫২, ব্রিধান৭৯।
- লবণাক্ত এলাকার জন্য: ব্রিধান৪৭, ব্রিধান৫৫, ব্রিধান৬১।
- পাহাড়ি এলাকার জন্য: ব্রিধান৭৫, ব্রিধান৮০, ব্রিধান৮৭। (কার্ত্তিক - কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস)-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, জ্যৈষ্ঠ - কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস)-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার)
২. বীজের মান যাচাই
সার ব্যবস্থাপনা
ফলন বৃদ্ধির জন্য সঠিক সার প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: (উদ্ভিদ-শারীরতত্ত্ব-বিভাগের-সাফল্য)
সেচ ব্যবস্থাপনা
উচ্চফলনশীল জাতের ধান চাষে সেচের গুরুত্ব অপরিসীম:
উপসংহার
ধান চাষে সঠিক জমি প্রস্তুতি, মানসম্মত বীজ নির্বাচন, সঠিক সার ও সেচ ব্যবস্থাপনা কৃষকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে ফলন বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষকদের আয় বাড়বে। কৃষকদের জন্য কৃষি বিভাগের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
উপরোক্ত তথ্যসমূহ কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস)-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত। (শ্রাবণ - কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস)-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার)