SofolChashi বগুরা, বাংলাদেশ
+880 1956 734 683
Mail Support: superadmin@sofolchashi.com
আজকের কৃষিকাজে পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতির গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। অধিকাংশ সময়েই আমরা পোকা-মাকড় দমনের জন্য রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করি, যা দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই প্রেক্ষাপটে জৈব পদ্ধতিতে পোকা-মাকড় দমন একটি কার্যকর ও নিরাপদ বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, পোকা-মাকড় দমনের জন্য কী কী জৈব পদ্ধতি রয়েছে এবং কীভাবে আপনি নিজের ক্ষেত বা বাগানে এই পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করতে পারেন।
জৈব কীটনাশক হচ্ছে প্রাকৃতিক উৎস থেকে তৈরি এমন এক ধরনের দ্রব্য, যা পোকামাকড়ের উপর প্রভাব ফেলে কিন্তু মানুষের বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়।
সাধারণ জৈব কীটনাশকসমূহ:
প্রকৃতিতেই কিছু উপকারী পোকা রয়েছে, যারা ক্ষতিকর পোকাগুলিকে শিকার করে। এই উপকারী পোকাদের ব্যবহার করেও ক্ষেতের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব।
উদাহরণস্বরূপ:
ঘাস, ঝোপঝাড় বা কাঁটার বেড়া ব্যবহার করে পোকামাকড়ের চলাচলে বাধা তৈরি করা যায়। এতে তারা ফসলের কাছে পৌঁছাতে পারে না এবং স্বাভাবিকভাবেই তাদের সংখ্যা কমে আসে।
একটি ঘরোয়া কিন্তু কার্যকরী জৈব সমাধান হল:
লবণ ও বেকিং সোডা মিশিয়ে গাছের পাতায় ছিটিয়ে দিলে তা ছত্রাক, পোকার ডিম ও অনেক রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।
বিশেষ করে:
টমেটো, শসা, আলু জাতীয় সবজিতে এটি ব্যবহার উপকারী।
পোকামাকড় অনেক সময় আর্দ্র মাটিকে বেশি পছন্দ করে। তাই:
স্টিকি ট্র্যাপ বা আলোর ফাঁদ ব্যবহারে পোকামাকড় সহজেই আটকা পড়ে। এটি বিশেষতঃ ফলবাগানে বা শাকসবজির ক্ষেতে ভালো কাজ করে।
এই উপাদানগুলো ঘরোয়া পরিবেশে বা ক্ষেতে প্রয়োগ করলে পিপঁড়া ও অন্যান্য ছোট পোকামাকড় দূরে থাকে।
কিছু গাছ প্রাকৃতিকভাবে পোকা দূরে রাখতে সাহায্য করে। একে বলে Companion Planting।
উদাহরণ:
ম্যারিগোল্ড ফুল: এটি অনেক পোকা প্রতিরোধ করে, বিশেষ করে নেমাটোড জাতীয় পোকা।
পোকা-মাকড় দমনের জন্য জৈব পদ্ধতি শুধু একটি বিকল্প নয়, বরং একটি চেতনা। এটি আমাদের কৃষি ব্যবস্থাকে রক্ষা করার একটি টেকসই উপায়। রাসায়নিকের পরিবর্তে প্রাকৃতিক ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি ব্যবহার করলে আপনি আপনার ফসল, মাটি এবং পরিবেশ—সবকিছুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।
"সফল চাষী" একটি স্মার্ট অ্যাপ যেখানে কৃষকরা আধুনিক চাষাবাদ, ফসলের তথ্য, রোগবালাই প্রতিরোধ এবং বাজারদরের আপডেট সহজেই পেতে পারেন। সফল চাষীর সাথে কৃষি হবে আরও সহজ, লাভজনক ও প্রযুক্তিনির্ভর।
